সিংড়া দমদমা এলাকার হিন্দু-মুসলমানের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পমগ্রাম নিবাসী দাতা ধনাঢ্য সমজান আলী মাঝির সহায়তায় ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। দমদমা সমজান আলী মাঝি এম ই স্কুল। এরপর দেখতে দেখতে কালের ঘূর্ণিপাকে এসে যায় ১৯৫৪ সাল। তৎকালীন সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুল হক বিএসসি সাহেবের প্রস্তাবে প্রতিষ্ঠানের নাম রাখা হয় সিংড়া দমদমা উচ্চ বিদ্যালয়। প্রথম প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হন বাবু হীরালাল বিশ্বাস। ১৯৫৬ সালে প্রথম ব্যাচে ১২ জন পরীক্ষার্থী মেট্রিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৪ জন সুনামের সহিত কৃতকার্য হয়। এলাকার মানুষের দাবী এবং উচ্চ শিক্ষার চাহিদা প্রসারের লক্ষে ০১-০৭-১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি কলেজে উন্নীত হয়। এরপর কারিগরি শিক্ষা বিস্তারের জন্য ২৫-০১-১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠানে কারিগরি শাখা চালু হয়। মাধ্যমিক শাখার ফলাফলে ১৯৯২ ও ১৯৯৪ সালে নাটোর জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠান প্রধানের গৌরব অর্জন করে। বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩টি শাখায় প্রায় ২৫০০ (দুই হাজার পাঁচশত) জনের বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শহিদ মিনার, বাংলাদেশের মানচিত্র, বিশ্ব মানচিত্র এবং দৃষ্টি নন্দন ফুলের বাগান আছে। তাছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পাতা বাহারী গাছসহ অনেক রকমের ফলজ ও ওষধি গাছের সমারোহ আছে প্রতিষ্ঠানটিতে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের বহু কৃর্তী শিক্ষার্থী দেশে-বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় সুনামের সহিত কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছে। প্রতি বছর জুনিয়র, এসএসসি, এইচএসসি এবং এসএসসি ভোকেশনাল শাখা হতে অনেক শিক্ষার্থী কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়। এমনকি প্রতিষ্ঠানটি মাধ্যমিক শাখা হতে ১৯৯৪ সালে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের মেধাতালিকায় ১৭তম স্থান করে নেয়। প্রতিষ্ঠানটির ফলাফল শুধু নাটোর জেলা নয়-রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের নজর কাড়ে। চার তলা বিশিষ্ট দুইটি ভবন, তিন তলা বিশিষ্ট একটি ভবন এবং দুই তলা বিশিষ্ট দুইটি ভবন সহ মোট পাঁচটি ভবন আছে। দুইটি আধুনিক কম্পিউটার ল্যাবসহ ছয়টি স্মার্ট বোর্ড সম্বলিত শ্রেণিকক্ষ আছে। এছাড়াও প্রাচীর ঘেরা ও মিনি স্টেডিয়ামসহ বিশাল একটি খেলার মাঠ রয়েছে। প্রতি বছর অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে। প্রতিষ্ঠানটির অভিজ্ঞ গভর্ণিং বডির সভাপতিসহ সকল সদস্য বৃন্দ এবং সুযোগ্য অধ্যক্ষ জনাব মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম সাহেবের পরিচালনায় প্রতিষ্ঠানটি উত্তরোত্তর সুনাম অর্জন করছে।